Featured post

Who is Ishvara

Image
Existence of God: Swami Vivekananda was a follower and proponent of Vedanta which mentions one God — omnipresent, omnipotent, omniscient. On 19 September 1893 Swami Vivekananda delivered a lecture at the Parliament of the World's Religions, Chicago, where he talked about nature of God. He preached— "He is everywhere, the pure and formless One, the Almighty and the All-merciful. "Thou art our father, Thou art our mother, Thou art our beloved friend, Thou art the source of all strength; give us strength. Thou art He that beareth the burdens of the universe; help me bear the little burden of this life." Thus sang the Rishis of the Vedas. And how to worship Him? Through love. "He is to be worshipped as the one beloved, dearer than everything in this and the next life."

Last days of Swami Vivekananda

বিবেকানন্দের শেষের কটা দিন
মিশরে বিবেকানন্দ--
সেখানে বেড়াতে এসেছেন একান্ত ভক্ত ফরাসি নৃত্যশিল্পী শ্রীমতি কালভের সঙ্গে |
বিবেকানন্দ ক্লান্ত |
গত ন’ বছরে শুধু কাজ করেছেন তিনি |
নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন কর্মব্রত পালন করতে|
তিনি ক্রমেই অসুস্থ |
তিনি কাঁদছেন আর বলছেন‚ আমি দেশে ফিরতে চাই |
কালভেকে বললেন‚ আমি দেশে ফিরতে চাই‚ গুরুভাইদের সান্নিধ্যে মরবার জন্যে |
আমার মৃত্যুদিন ৪ ঠা জুলাই !
১৯০২ -এর ২১শে জুন |
পরমভক্ত ও বন্ধু সিস্টার ক্রিশ্চিন-কে তাঁর শেষ চিঠিতে বিবেকানন্দ লিখলেন‚ আমার কথাটি ফুরলো‚ নটে গাছটি মুড়লো |
১৯০২ – এর ২রা জুলাই | মহাপ্রয়াণের দু-দিন আগে |
নিবেদিতাকে নেমন্তন্ন করলেন বিবেকানন্দ |
খাওয়ালেন কাঁঠালের বিচিসিদ্ধ‚ আলুসিদ্ধ‚ সাদা ভাত‚ বরফ দিয়ে ঠান্ডা করা দুধ |
খাবার সময় কত কৌতুক আর মজা করে গল্প করলেন বিবেকানন্দ !
খাওয়ার পরে‚ নিবেদিতা প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও‚ কী গভীর স্নেহে তাঁর হাত ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে দিলেন |
— এ কী করলেন আপনি‚ এ তো আমার করা উচিত আপনাকে !
বললেন বিস্মিত নিবেদিতা |
— ক্রাইস্ট তো শিষ্যদের পা ধুয়ে দিয়েছিলেন‚ উত্তর দিলেন বিবেকানন্দ |
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে নিবেদিতা বললেন‚ কিন্তু সে তো শেষ সময়ে |
বিবেকানন্দ হেসে বললেন‚ ইউ সিলি গার্ল —
১৯০২ – এর ৪ঠা জুলাই |
ভোরবেলা ঘুম ভাঙল বিবেকানন্দের |
তাকালেন ক্যালেন্ডারের দিকে |
আজই তো সেইদিন |
আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস |
আর আমার দেহত্যাগের দিন |
মা ভুবনেশ্বরীর মুখটি মনে পড়ল তাঁর |
ধ্যান করলেন সেই দয়াময়‚ প্রসন্ন মুখটি |
বুকের মধ্যে অনুভব করলেন নিবিড় বেদনা |
তারপর সেই বিচ্ছেদবেদনার সব ছায়া সরে গেল |
ভারী উৎফুল্ল বোধ করলেন বিবেকানন্দ |
তাঁর মনে আজ নতুন আনন্দ |
তাঁর শরীরে আজ নতুন শক্তি |
তিনি অনুভব করলেন তাঁর সব অসুখ সেরে গেছে |
শরীরে আর কোনও কষ্ট নেই |
বিবেকানন্দ ডুবে গেলেন ধ্যানমগ্ন উপাসনায় |
উপাসনার পরে গুরুভাইয়ের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করতে-করতে সামান্য ফল আর গরম দুধ খেলেন |
বেলা সাড়ে আটটা নাগাদ প্রেমানন্দকে ডেকে বললেন‚ আমার পূজার আসন কর ঠাকুরের পূজাগৃহে |
সকাল সাড়ে নটায় স্বামী প্রেমানন্দও সেখানে এলেন পূজা করতে |
বিবেকানন্দ একা হতে চান |
প্রেমানন্দকে বললেন‚ আমার ধ্যানের আসনটা ঠাকুরের শয়নঘরে পেতে দে |
এখন আমি সেখানে বসেই ধ্যান করব |
অন্যদিন বিবেকানন্দ পুজোর ঘরে বসেই ধ্যান করেন |
আজ ঠাকুরের শয়নঘরে প্রেমানন্দ পেতে দিলেন তাঁর ধ্যানের আসন |
ধ্যানে বসেছেন বিবেকানন্দ |
ধ্যানের মধ্যে তাঁর মনে হল‚ তিনি ঘরে একা নন |
ঘরে এত আলো কেন ?
এ যে একেবারে আলোর সমুদ্র | আলোর ঢেউ |
সেই আলোরই একটি ঢেউ শ্রীরামকৃষ্ণের রূপ ধরে সামনে দাঁড়িয়ে |
শ্রীরামকৃষ্ণের এ কীঅপরূপ রূপ !
বিবেকানন্দ ধ্যানের মধ্যে বলে ওঠেন‚ ঠাকুর ! তুমি এসেছো !
শ্রীরামকৃষ্ণের মুখে সেই হাসি‚ সেই আনন্দ |
বিবেকানন্দের বুকের মধ্যে ধ্বনিত হল শ্রীরামকৃষ্ণের কণ্ঠস্বর |
নরেন‚ আমি এসেছি‚ তোকে এইটুকু জানাতে‚ তোর কাজ ফুরিয়েছে |
আর কোনও কাজ বাকি নেই নরেন |
নরেন‚ আমি জানি‚ তোর মনে পড়ে গেছে তুই কে‚ কোথা থেকে এসেছিস মর্ত্যধামে‚ কার কাজে তুই পৃথিবীতে এসেছিস‚ সব এখন জানিস তুই | তোর সব মোহ-আবরণ ক্ষয় হয়েছে নরেন | আমিই তো তোকে ডেকেছিলুম পৃথিবীতে | এবার আমিই তোর বিদায়ের দরজা খুলে দিলুম | তোর ইচ্ছামৃত্যু নরেন | আর দেরি করিসনি | এবার ফিরে আয় | দরজাটুকু পার হলেই দেখবি আমি দাঁড়িয়ে আছি তোর জন্যে | তোকে ছেড়ে আর যে থাকতে পারছিনি রে !
বেলা ১১টা পর্যন্ত ধ্যান করলেন বিবেকানন্দ অ|
তারপর মন্দির প্রাঙ্গণে পায়চারি করছেন আর গাইছেন:
মা কি আমার কালো ?
কালোরূপা এলোকেশী হৃদিপদ্ম করে আলো |
স্বামীজি গান গাইছেন |
পিছনেই প্রেমানন্দ |
বিবেকানন্দ হেসে বললেন‚ তাড়াতাড়ি আজ খাওয়াদাওয়া সেরে নে |
আজ আমি নিজের ঘরে একলা খাচ্ছিনে |
সবার সঙ্গে খেতে বসব |
সকালবেলা বেলুড়ঘাটে জেলের নৌকো ভিড়েছিল |
নৌকো ভর্তি গঙ্গার ইলিশ |
বিবেকানন্দ মহা উৎসাহে ইলিশ কিনিয়েছেন |
তাঁরই আদেশে রান্না হয়েছে ইলিশের নানারকম পদ |
গুরুভাইদের সঙ্গে মহানন্দে ইলিশভক্ষণে বসলেন বিবেকানন্দ |
তিনি জানেন আরও মাত্র কয়েক ঘণ্টার পথ |
ডাক্তারের বারণ শুনে চলার আর প্রয়োজন নেই |
তিনি পেটভরে খেলেন ইলিশের ঝোল‚ ইলিশের অম্বল‚ ইলিশ ভাজা |
দুপুরে মিনিট পনেরো বিছানায় গড়িয়ে নিলেন বিবেকানন্দ |
তারপর প্রেমানন্দকে বললেন‚ স
ন্ন্যাসীর দিবানিদ্রা পাপ |
চল একটু পড়াশোনা করা যাক |
বিবেকানন্দ শুদ্ধানন্দকে বললেন‚ লাইব্রেরি থেকে শুক্লযজুর্বেদটি নিয়ে আয় |
তারপর হঠাৎ বললেন‚ এই বেদের মহীধরকৃতভাষ্য আমার মনে লাগে না |
আমাদের দেহের অভ্যন্তরে মেরুদণ্ডের মধ্যস্থ শিরাগুচ্ছে‚ ইড়া ও পিঙ্গলার মধ্যবর্তী যে সুষুন্মা নাড়িটি রয়েছে‚ তার বর্ণনা ও ব্যাখ্যা আছে তন্ত্রশাস্ত্রে | আর এই ব্যাখ্যা ও বর্ণনার প্রাথমিক বীজটি নিহিত আছে বৈদিক মন্ত্রের গভীর সংকেতে | মহীধর সেটি ধরতে পারেননি |
বিবেকানন্দ এইটুকু বলেই থামলেন |
কেউ ধরতেও পারলেন না‚ বিবেকানন্দের মন ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করেছে মেরুদণ্ড-সংলগ্ন কুলকুণ্ডলিনী – শক্তিকে জাগিয়ে তাকে শরীরের অভ্যন্তরে ষঢ়চক্র ভেদ করিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে দেবার কথা !
এরপর বিবেকানন্দ প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ব্যাকরণ চর্চা করলেন ব্রহ্মচারীদের সঙ্গে |
তিনি পাণিনির ব্যাকরণের সূত্রগুলি নানারকম মজার গল্পের সঙ্গে জুড়ে দিতে লাগলেন |
ব্যাকরণশাস্ত্রের ক্লাস হাসির হুল্লোড়ে পরিণত হল |
বিকেল হয়েছে |
প্রেমানন্দকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন বিবেকানন্দ |
হাঁটতে-হাঁটতে একেবারে বেলুড়বাজার পর্যন্ত বেরিয়ে আসলেন |
কোনও কষ্টই আজ আর অনুভব করলেন না|
বুকে এতটুকু হাঁফ ধরল না |
সন্ধেবেলা |
মঠে ফিরে এসেছেন বিবেকানন্দ |
গঙ্গাঁর ধারে আমগাছের তলায় একটি বেঞ্চি পাতা |
সেখানে তামাক খেতে খেতে আড্ডায় বসলেন বিবেকানন্দ |
সন্ন্যাসীরা কজনে মিলে চা খাচ্ছেন |
স্বামীজিও চা চাইলেন |
সন্ধে সাতটা |
শুরু হল সন্ধ্যারতি |
আর দেরি নয় |
শরীরটাকে এবার জীর্ণবস্ত্রের মতো ত্যাগ করতে হবে —
বিবেকানন্দ প্রস্তুত |
তিনি তরুণ ব্রহ্মচারী ব্রজেন্দ্রকে নিয়ে নিজের ঘরে এলেন |
বললেন‚ আমাকে দু – ছড়া মালা দিয়ে তুই বাইরে বসে জপ কর্|
আমি না ডাকলে আসবি না |
স্বামীজি ধ্যানে বসলেন |
তাঁর দেহের মধ্যে‚ মেরুদণ্ডের প্রান্তে‚ মূলাধার পদ্মে তিনটি বেষ্টনে অধোমুখে বিরাজিত পরমাশক্তি কুলকুণ্ডলিনী |
সেই কুণ্ডলিনীকে জাগ্রত করতে চলেছেন বিবেকানন্দ |
সেই পরমাশক্তিকে প্রথমে ধীরে ধীরে বেষ্টন – মুক্ত করলেন তিনি |
তারপর তাঁকে করলেন ঊর্ধ্বমুখ |
বিবেকানন্দের সর্বাঙ্গ ঘামে ভিজে গেছে |
তাঁর মধ্যে জাগ্রত হয়েছে এক প্রবল শক্তি |
সেই সদ্যজাগ্রত বেষ্টনমুক্ত ঊর্ধ্বমুখ ভয়ংকর কুলকুণ্ডলিনীকে মেরুদণ্ড দিয়ে আরোহী করালেন বিবেকানন্দ |
মেরুদণ্ড বেয়ে সাপের মতো উঠতে লাগল কুণ্ডলিনী |
বিবেকানন্দ চাইছেন সেই প্রবল শক্তিকে মস্তিষ্কে পৌঁছে দিতে |
বাধা দিচ্ছে তাঁর শরীরের ষঢ়চক্র |
সেই সব বাধা বিবেকানন্দ যোগবলে অতিক্রম করলেন |
ভয়ংকর কুলকুণ্ডলিনী ধীরে ধীরে প্রবিষ্ট হল বিবেকানন্দের মস্তিষ্কে |
এরপর আর ফেরার পথ বন্ধ |
শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন‚ যেদিন নরেন বুঝবে ওর কাজ শেষ হয়েছে‚ সেদিন ও যোগবলে নিজের মুক্তির পথ খুঁজে পাবে |
জাগ্রত কুণ্ডলিনী মেরুদণ্ড দিয়ে সাপের মতো উঠে গিয়ে বিবেকানন্দের মস্তিষ্কে যা ঘটাবার তাই ঘটিয়ে দিল |
বিবেকানন্দ ধ্যানের মধ্যে দেখতে পেলেন‚ খুলে গেছে তাঁর আলোকময় মহাপ্রস্থানের পথ |
বললেন‚ দরজা-জানালা সব খুলে দে |
মেঝেতে বিছানা পাতা |
সেখানে শুয়ে পড়লেন বিবেকানন্দ |
হাতে তাঁর জপের মালা |
ব্রজেন্দ্র বাতাস করছেন |
বিবেকানন্দ বললেন‚ আর বাতাস করিসনি | একটু পা টিপে দে |
রাত ঠিক নটা |
বাঁ পাশ ফিরলেন বিবেকানন্দ |
তাঁর ডান হাতটা থরথর করে কেঁপে উঠল |
কুণ্ডলিনীর শেষ ছোবল |
শিশুর মতো কাঁদতে লাগলেন বিবেকানন্দ |
তারপর একটি গভীর দীর্ঘশ্বাস |
মাথাটা বালিশ থেকে পড়ে গেল |
চোখের দুটি তারা চলে এল ভুরুর মাঝখানে |
চোখ দুটি ক্রমশ রাঙিয়ে উঠল |
ভিতরে রক্ত ঝরেছে |
নাকের কোণে রক্তের ফোঁটা |
ঠোঁটের কোণে রক্ত |
তারপর ক্রমে দিব্যজ্যোতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল বিবেকানন্দের সারা অঙ্গ |
বিবেকানন্দ বলেছিলেন তাঁর মৃত্যুদিন ৪ঠা জুলাই | আর তাঁর বয়েস চল্লিশ পেরবে না |
তাঁর বয়েস ঠিক ঊনচল্লিশ বছর‚ পাঁচ মাস‚ পঁচিশ দিন |
পরের দিন ভোরবেলা |
একটি সুন্দর গালিচার ওপর শায়িত দিব্যভাবদীপ্ত‚ বিভূতি-বিভূষিত‚ বিবেকানন্দ |
তাঁর মাথায় ফুলের মুকুট |
তাঁর পরনে নবরঞ্জিত গৈরিক বসন |
তাঁর প্রসারিত ডান হাতের আঙুলে জড়িয়ে আছে রুদ্রাক্ষের জপমালাটি |
তাঁর চোখদুটি যেন ধ্যানমগ্ন শিবের চোখ‚ অর্ধনিমীলিত‚ অন্তর্মুখী‚ অক্ষিতারা |
নিবেদিতা ভোরবেলাতেই চলে এসেছেন |
স্বামীজির পাশে বসে হাতপাখা দিয়ে অনবরত বাতাস করছেন |
তাঁর দুটি গাল বেয়ে নামছে নীরব অজস্র অশ্রুধারা |
স্বামীজির মাথা পশ্চিমদিকে |
পা-দুখানি পুবে‚ গঙ্গার দিকে |
শায়িত বিবেকানন্দের পাশেই নিবেদিতাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে সেই গুরুগতপ্রাণা‚ ত্যাগতিতিক্ষানুরাগিণী বিদেশিনী তপস্বিনীর হৃদয় যেন গলে পড়ছে সহস্রধারে | আজকের ভোরবেলাটি তাঁর কাছে বহন করে এনেছে বিশুদ্ধ বেদনা |
অসীম ব্যথার পবিত্র পাবকে জ্বলছেন‚ পুড়ছেন তিনি |
এই বেদনার সমুদ্রে তিনি একা |
নির্জনবাসিনী নিবেদিতা |
বিবেকানন্দের দেহ স্থাপন করা হল চন্দন কাঠের চিতায় |
আর তখুনি সেখানে এসে পৌঁছলেন জননী ভুবনেশ্বরী |
চিৎকার করে কাঁদতে- কাঁদতে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে |
কী হল আমার নরেনের ?
হঠাৎ চলে গেল কেন ?
ফিরে আয় নরেন‚ ফিরে আয় |
আমাকে ছেড়ে যাসনি বাবা |
আমি কী নিয়ে থাকব নরেন ?
ফিরে আয় | ফিরে আয় |
সন্ন্যাসীরা তাঁকে কী যেন বোঝালেন |
তারপর তাঁকে তুলে দিলেন নৌকায় |
জ্বলে উঠল বিবেকানন্দের চিতা |
মাঝগঙ্গা থেকে তখনো ভেসে আসছে ভুবনেশ্বরীর বুকফাটা কান্না |
ফিরে আয় নরেন ফিরে আয় |
ভুবনেশ্বরীর নৌকো ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল |
তাঁর কান্না‚ ফিরে আয় নরেন‚ ফিরে আয়‚ ভেসে থাকল গঙ্গার বুকে |
নিবেদিতা মনে মনে ভাবলেন‚ প্রভুর ওই জ্বলন্ত বস্ত্রখণ্ডের এক টুকরো যদি পেতাম !
সন্ধে ছটা |
দাহকার্য সম্পন্ন হল | আর নিবেদিতা অনুভব করলেন‚ কে যেন তাঁর জামার হাতায় টান দিল | তিনি চোখ নামিয়ে দেখলেন‚ অগ্নি ও অঙ্গার থেকে অনেক দূরে‚ ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি‚ সেখানেই উড়ে এসে পড়ল ততটুকু জ্বলন্ত বস্ত্রখণ্ড যতটুকু তিনি প্রার্থনা করেছিলেন | নিবেদিতার মনে হল‚ মহাসমাধির ওপার থেকে উড়ে-আসা এই বহ্নিমান পবিত্র বস্ত্রখণ্ড তাঁর প্রভুর‚ তাঁর প্রাণসখার শেষ চিঠি |

Comments

Swami Vivekananda - The Divine

Ramkrishna Paramhansa on Bhagavad Gita

What is Brahmacharya ?

Swami Vivekananda on Bhagavad Gita