বিবেকানন্দের শেষের কটা দিন
মিশরে বিবেকানন্দ--
সেখানে বেড়াতে এসেছেন একান্ত ভক্ত ফরাসি নৃত্যশিল্পী শ্রীমতি কালভের সঙ্গে |
বিবেকানন্দ ক্লান্ত |
গত ন’ বছরে শুধু কাজ করেছেন তিনি |
নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন কর্মব্রত পালন করতে|
তিনি ক্রমেই অসুস্থ |
তিনি কাঁদছেন আর বলছেন‚ আমি দেশে ফিরতে চাই |
কালভেকে বললেন‚ আমি দেশে ফিরতে চাই‚ গুরুভাইদের সান্নিধ্যে মরবার জন্যে |
আমার মৃত্যুদিন ৪ ঠা জুলাই !
১৯০২ -এর ২১শে জুন |
পরমভক্ত ও বন্ধু সিস্টার ক্রিশ্চিন-কে তাঁর শেষ চিঠিতে বিবেকানন্দ লিখলেন‚ আমার কথাটি ফুরলো‚ নটে গাছটি মুড়লো |
১৯০২ – এর ২রা জুলাই | মহাপ্রয়াণের দু-দিন আগে |
নিবেদিতাকে নেমন্তন্ন করলেন বিবেকানন্দ |
খাওয়ালেন কাঁঠালের বিচিসিদ্ধ‚ আলুসিদ্ধ‚ সাদা ভাত‚ বরফ দিয়ে ঠান্ডা করা দুধ |
খাবার সময় কত কৌতুক আর মজা করে গল্প করলেন বিবেকানন্দ !
খাওয়ার পরে‚ নিবেদিতা প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও‚ কী গভীর স্নেহে তাঁর হাত ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে দিলেন |
— এ কী করলেন আপনি‚ এ তো আমার করা উচিত আপনাকে !
বললেন বিস্মিত নিবেদিতা |
— ক্রাইস্ট তো শিষ্যদের পা ধুয়ে দিয়েছিলেন‚ উত্তর দিলেন বিবেকানন্দ |
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে নিবেদিতা বললেন‚ কিন্তু সে তো শেষ সময়ে |
বিবেকানন্দ হেসে বললেন‚ ইউ সিলি গার্ল —
১৯০২ – এর ৪ঠা জুলাই |
ভোরবেলা ঘুম ভাঙল বিবেকানন্দের |
তাকালেন ক্যালেন্ডারের দিকে |
আজই তো সেইদিন |
আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস |
আর আমার দেহত্যাগের দিন |
মা ভুবনেশ্বরীর মুখটি মনে পড়ল তাঁর |
ধ্যান করলেন সেই দয়াময়‚ প্রসন্ন মুখটি |
বুকের মধ্যে অনুভব করলেন নিবিড় বেদনা |
তারপর সেই বিচ্ছেদবেদনার সব ছায়া সরে গেল |
ভারী উৎফুল্ল বোধ করলেন বিবেকানন্দ |
তাঁর মনে আজ নতুন আনন্দ |
তাঁর শরীরে আজ নতুন শক্তি |
তিনি অনুভব করলেন তাঁর সব অসুখ সেরে গেছে |
শরীরে আর কোনও কষ্ট নেই |
বিবেকানন্দ ডুবে গেলেন ধ্যানমগ্ন উপাসনায় |
উপাসনার পরে গুরুভাইয়ের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করতে-করতে সামান্য ফল আর গরম দুধ খেলেন |
বেলা সাড়ে আটটা নাগাদ প্রেমানন্দকে ডেকে বললেন‚ আমার পূজার আসন কর ঠাকুরের পূজাগৃহে |
সকাল সাড়ে নটায় স্বামী প্রেমানন্দও সেখানে এলেন পূজা করতে |
বিবেকানন্দ একা হতে চান |
প্রেমানন্দকে বললেন‚ আমার ধ্যানের আসনটা ঠাকুরের শয়নঘরে পেতে দে |
এখন আমি সেখানে বসেই ধ্যান করব |
অন্যদিন বিবেকানন্দ পুজোর ঘরে বসেই ধ্যান করেন |
আজ ঠাকুরের শয়নঘরে প্রেমানন্দ পেতে দিলেন তাঁর ধ্যানের আসন |
ধ্যানে বসেছেন বিবেকানন্দ |
ধ্যানের মধ্যে তাঁর মনে হল‚ তিনি ঘরে একা নন |
ঘরে এত আলো কেন ?
এ যে একেবারে আলোর সমুদ্র | আলোর ঢেউ |
সেই আলোরই একটি ঢেউ শ্রীরামকৃষ্ণের রূপ ধরে সামনে দাঁড়িয়ে |
শ্রীরামকৃষ্ণের এ কীঅপরূপ রূপ !
বিবেকানন্দ ধ্যানের মধ্যে বলে ওঠেন‚ ঠাকুর ! তুমি এসেছো !
শ্রীরামকৃষ্ণের মুখে সেই হাসি‚ সেই আনন্দ |
বিবেকানন্দের বুকের মধ্যে ধ্বনিত হল শ্রীরামকৃষ্ণের কণ্ঠস্বর |
নরেন‚ আমি এসেছি‚ তোকে এইটুকু জানাতে‚ তোর কাজ ফুরিয়েছে |
আর কোনও কাজ বাকি নেই নরেন |
নরেন‚ আমি জানি‚ তোর মনে পড়ে গেছে তুই কে‚ কোথা থেকে এসেছিস মর্ত্যধামে‚ কার কাজে তুই পৃথিবীতে এসেছিস‚ সব এখন জানিস তুই | তোর সব মোহ-আবরণ ক্ষয় হয়েছে নরেন | আমিই তো তোকে ডেকেছিলুম পৃথিবীতে | এবার আমিই তোর বিদায়ের দরজা খুলে দিলুম | তোর ইচ্ছামৃত্যু নরেন | আর দেরি করিসনি | এবার ফিরে আয় | দরজাটুকু পার হলেই দেখবি আমি দাঁড়িয়ে আছি তোর জন্যে | তোকে ছেড়ে আর যে থাকতে পারছিনি রে !
বেলা ১১টা পর্যন্ত ধ্যান করলেন বিবেকানন্দ অ|
তারপর মন্দির প্রাঙ্গণে পায়চারি করছেন আর গাইছেন:
মা কি আমার কালো ?
কালোরূপা এলোকেশী হৃদিপদ্ম করে আলো |
স্বামীজি গান গাইছেন |
পিছনেই প্রেমানন্দ |
বিবেকানন্দ হেসে বললেন‚ তাড়াতাড়ি আজ খাওয়াদাওয়া সেরে নে |
আজ আমি নিজের ঘরে একলা খাচ্ছিনে |
সবার সঙ্গে খেতে বসব |
সকালবেলা বেলুড়ঘাটে জেলের নৌকো ভিড়েছিল |
নৌকো ভর্তি গঙ্গার ইলিশ |
বিবেকানন্দ মহা উৎসাহে ইলিশ কিনিয়েছেন |
তাঁরই আদেশে রান্না হয়েছে ইলিশের নানারকম পদ |
গুরুভাইদের সঙ্গে মহানন্দে ইলিশভক্ষণে বসলেন বিবেকানন্দ |
তিনি জানেন আরও মাত্র কয়েক ঘণ্টার পথ |
ডাক্তারের বারণ শুনে চলার আর প্রয়োজন নেই |
তিনি পেটভরে খেলেন ইলিশের ঝোল‚ ইলিশের অম্বল‚ ইলিশ ভাজা |
দুপুরে মিনিট পনেরো বিছানায় গড়িয়ে নিলেন বিবেকানন্দ |
তারপর প্রেমানন্দকে বললেন‚ স
ন্ন্যাসীর দিবানিদ্রা পাপ |
চল একটু পড়াশোনা করা যাক |
বিবেকানন্দ শুদ্ধানন্দকে বললেন‚ লাইব্রেরি থেকে শুক্লযজুর্বেদটি নিয়ে আয় |
তারপর হঠাৎ বললেন‚ এই বেদের মহীধরকৃতভাষ্য আমার মনে লাগে না |
আমাদের দেহের অভ্যন্তরে মেরুদণ্ডের মধ্যস্থ শিরাগুচ্ছে‚ ইড়া ও পিঙ্গলার মধ্যবর্তী যে সুষুন্মা নাড়িটি রয়েছে‚ তার বর্ণনা ও ব্যাখ্যা আছে তন্ত্রশাস্ত্রে | আর এই ব্যাখ্যা ও বর্ণনার প্রাথমিক বীজটি নিহিত আছে বৈদিক মন্ত্রের গভীর সংকেতে | মহীধর সেটি ধরতে পারেননি |
বিবেকানন্দ এইটুকু বলেই থামলেন |
কেউ ধরতেও পারলেন না‚ বিবেকানন্দের মন ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করেছে মেরুদণ্ড-সংলগ্ন কুলকুণ্ডলিনী – শক্তিকে জাগিয়ে তাকে শরীরের অভ্যন্তরে ষঢ়চক্র ভেদ করিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে দেবার কথা !
এরপর বিবেকানন্দ প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ব্যাকরণ চর্চা করলেন ব্রহ্মচারীদের সঙ্গে |
তিনি পাণিনির ব্যাকরণের সূত্রগুলি নানারকম মজার গল্পের সঙ্গে জুড়ে দিতে লাগলেন |
ব্যাকরণশাস্ত্রের ক্লাস হাসির হুল্লোড়ে পরিণত হল |
বিকেল হয়েছে |
প্রেমানন্দকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন বিবেকানন্দ |
হাঁটতে-হাঁটতে একেবারে বেলুড়বাজার পর্যন্ত বেরিয়ে আসলেন |
কোনও কষ্টই আজ আর অনুভব করলেন না|
বুকে এতটুকু হাঁফ ধরল না |
সন্ধেবেলা |
মঠে ফিরে এসেছেন বিবেকানন্দ |
গঙ্গাঁর ধারে আমগাছের তলায় একটি বেঞ্চি পাতা |
সেখানে তামাক খেতে খেতে আড্ডায় বসলেন বিবেকানন্দ |
সন্ন্যাসীরা কজনে মিলে চা খাচ্ছেন |
স্বামীজিও চা চাইলেন |
সন্ধে সাতটা |
শুরু হল সন্ধ্যারতি |
আর দেরি নয় |
শরীরটাকে এবার জীর্ণবস্ত্রের মতো ত্যাগ করতে হবে —
বিবেকানন্দ প্রস্তুত |
তিনি তরুণ ব্রহ্মচারী ব্রজেন্দ্রকে নিয়ে নিজের ঘরে এলেন |
বললেন‚ আমাকে দু – ছড়া মালা দিয়ে তুই বাইরে বসে জপ কর্|
আমি না ডাকলে আসবি না |
স্বামীজি ধ্যানে বসলেন |
তাঁর দেহের মধ্যে‚ মেরুদণ্ডের প্রান্তে‚ মূলাধার পদ্মে তিনটি বেষ্টনে অধোমুখে বিরাজিত পরমাশক্তি কুলকুণ্ডলিনী |
সেই কুণ্ডলিনীকে জাগ্রত করতে চলেছেন বিবেকানন্দ |
সেই পরমাশক্তিকে প্রথমে ধীরে ধীরে বেষ্টন – মুক্ত করলেন তিনি |
তারপর তাঁকে করলেন ঊর্ধ্বমুখ |
বিবেকানন্দের সর্বাঙ্গ ঘামে ভিজে গেছে |
তাঁর মধ্যে জাগ্রত হয়েছে এক প্রবল শক্তি |
সেই সদ্যজাগ্রত বেষ্টনমুক্ত ঊর্ধ্বমুখ ভয়ংকর কুলকুণ্ডলিনীকে মেরুদণ্ড দিয়ে আরোহী করালেন বিবেকানন্দ |
মেরুদণ্ড বেয়ে সাপের মতো উঠতে লাগল কুণ্ডলিনী |
বিবেকানন্দ চাইছেন সেই প্রবল শক্তিকে মস্তিষ্কে পৌঁছে দিতে |
বাধা দিচ্ছে তাঁর শরীরের ষঢ়চক্র |
সেই সব বাধা বিবেকানন্দ যোগবলে অতিক্রম করলেন |
ভয়ংকর কুলকুণ্ডলিনী ধীরে ধীরে প্রবিষ্ট হল বিবেকানন্দের মস্তিষ্কে |
এরপর আর ফেরার পথ বন্ধ |
শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন‚ যেদিন নরেন বুঝবে ওর কাজ শেষ হয়েছে‚ সেদিন ও যোগবলে নিজের মুক্তির পথ খুঁজে পাবে |
জাগ্রত কুণ্ডলিনী মেরুদণ্ড দিয়ে সাপের মতো উঠে গিয়ে বিবেকানন্দের মস্তিষ্কে যা ঘটাবার তাই ঘটিয়ে দিল |
বিবেকানন্দ ধ্যানের মধ্যে দেখতে পেলেন‚ খুলে গেছে তাঁর আলোকময় মহাপ্রস্থানের পথ |
বললেন‚ দরজা-জানালা সব খুলে দে |
মেঝেতে বিছানা পাতা |
সেখানে শুয়ে পড়লেন বিবেকানন্দ |
হাতে তাঁর জপের মালা |
ব্রজেন্দ্র বাতাস করছেন |
বিবেকানন্দ বললেন‚ আর বাতাস করিসনি | একটু পা টিপে দে |
রাত ঠিক নটা |
বাঁ পাশ ফিরলেন বিবেকানন্দ |
তাঁর ডান হাতটা থরথর করে কেঁপে উঠল |
কুণ্ডলিনীর শেষ ছোবল |
শিশুর মতো কাঁদতে লাগলেন বিবেকানন্দ |
তারপর একটি গভীর দীর্ঘশ্বাস |
মাথাটা বালিশ থেকে পড়ে গেল |
চোখের দুটি তারা চলে এল ভুরুর মাঝখানে |
চোখ দুটি ক্রমশ রাঙিয়ে উঠল |
ভিতরে রক্ত ঝরেছে |
নাকের কোণে রক্তের ফোঁটা |
ঠোঁটের কোণে রক্ত |
তারপর ক্রমে দিব্যজ্যোতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল বিবেকানন্দের সারা অঙ্গ |
বিবেকানন্দ বলেছিলেন তাঁর মৃত্যুদিন ৪ঠা জুলাই | আর তাঁর বয়েস চল্লিশ পেরবে না |
তাঁর বয়েস ঠিক ঊনচল্লিশ বছর‚ পাঁচ মাস‚ পঁচিশ দিন |
পরের দিন ভোরবেলা |
একটি সুন্দর গালিচার ওপর শায়িত দিব্যভাবদীপ্ত‚ বিভূতি-বিভূষিত‚ বিবেকানন্দ |
তাঁর মাথায় ফুলের মুকুট |
তাঁর পরনে নবরঞ্জিত গৈরিক বসন |
তাঁর প্রসারিত ডান হাতের আঙুলে জড়িয়ে আছে রুদ্রাক্ষের জপমালাটি |
তাঁর চোখদুটি যেন ধ্যানমগ্ন শিবের চোখ‚ অর্ধনিমীলিত‚ অন্তর্মুখী‚ অক্ষিতারা |
নিবেদিতা ভোরবেলাতেই চলে এসেছেন |
স্বামীজির পাশে বসে হাতপাখা দিয়ে অনবরত বাতাস করছেন |
তাঁর দুটি গাল বেয়ে নামছে নীরব অজস্র অশ্রুধারা |
স্বামীজির মাথা পশ্চিমদিকে |
পা-দুখানি পুবে‚ গঙ্গার দিকে |
শায়িত বিবেকানন্দের পাশেই নিবেদিতাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে সেই গুরুগতপ্রাণা‚ ত্যাগতিতিক্ষানুরাগিণী বিদেশিনী তপস্বিনীর হৃদয় যেন গলে পড়ছে সহস্রধারে | আজকের ভোরবেলাটি তাঁর কাছে বহন করে এনেছে বিশুদ্ধ বেদনা |
অসীম ব্যথার পবিত্র পাবকে জ্বলছেন‚ পুড়ছেন তিনি |
এই বেদনার সমুদ্রে তিনি একা |
নির্জনবাসিনী নিবেদিতা |
বিবেকানন্দের দেহ স্থাপন করা হল চন্দন কাঠের চিতায় |
আর তখুনি সেখানে এসে পৌঁছলেন জননী ভুবনেশ্বরী |
চিৎকার করে কাঁদতে- কাঁদতে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে |
কী হল আমার নরেনের ?
হঠাৎ চলে গেল কেন ?
ফিরে আয় নরেন‚ ফিরে আয় |
আমাকে ছেড়ে যাসনি বাবা |
আমি কী নিয়ে থাকব নরেন ?
ফিরে আয় | ফিরে আয় |
সন্ন্যাসীরা তাঁকে কী যেন বোঝালেন |
তারপর তাঁকে তুলে দিলেন নৌকায় |
জ্বলে উঠল বিবেকানন্দের চিতা |
মাঝগঙ্গা থেকে তখনো ভেসে আসছে ভুবনেশ্বরীর বুকফাটা কান্না |
ফিরে আয় নরেন ফিরে আয় |
ভুবনেশ্বরীর নৌকো ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল |
তাঁর কান্না‚ ফিরে আয় নরেন‚ ফিরে আয়‚ ভেসে থাকল গঙ্গার বুকে |
নিবেদিতা মনে মনে ভাবলেন‚ প্রভুর ওই জ্বলন্ত বস্ত্রখণ্ডের এক টুকরো যদি পেতাম !
সন্ধে ছটা |
দাহকার্য সম্পন্ন হল | আর নিবেদিতা অনুভব করলেন‚ কে যেন তাঁর জামার হাতায় টান দিল | তিনি চোখ নামিয়ে দেখলেন‚ অগ্নি ও অঙ্গার থেকে অনেক দূরে‚ ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি‚ সেখানেই উড়ে এসে পড়ল ততটুকু জ্বলন্ত বস্ত্রখণ্ড যতটুকু তিনি প্রার্থনা করেছিলেন | নিবেদিতার মনে হল‚ মহাসমাধির ওপার থেকে উড়ে-আসা এই বহ্নিমান পবিত্র বস্ত্রখণ্ড তাঁর প্রভুর‚ তাঁর প্রাণসখার শেষ চিঠি |
Comments
Post a Comment